• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

শখের বশে আঙ্গুর চাষ,সফলতার প্রহর গুনছেন সবুজ 

  • ''
  • প্রকাশিত ২৭ এপ্রিল ২০২৪

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: 

শখের বশে আঙ্গুর চাষ করে সফলতার আশা করছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া গ্রামের সবুজ  নামে এক কৃষক। এখন তার ২০ শতাংশ জমিতে ২৫টি আঙ্গুর গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ২১টি গাছ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ কেজির মতো আঙ্গুর সংগ্রহ করার আশা করছেন তিনি।জানা যায়, সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া  গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে কৃষক সবুজ  দীর্ঘদিন ধরে নতুন নতুন ফল ও সবজি আবাদ করে আসছেন।

সম্প্রতি সোনালি রঙের ‘তৃপ্তি’ নামে নতুন জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলনও পেয়েছেন তিনি। দুই বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার তরমুজ তিনি বিক্রি করেন। কৃষক সবুজ  জানান, এক বছর  আগে শখের বশে নিজের ২০ শতাংশ  জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করেন তিনি। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও ইতালি থেকে সংগ্রহ করেছেন ছমছম, সুপার সনিকা, কালো জাতসহ কয়েকটি জাতের ২৫টি আঙুরের চারা।বারো  মাস পরিচর্যার পর তার বেশিরভাগ গাছেই আঙ্গুর ফল ধরেছে। প্রতিটি গাছে ৫ থেকে ৭ কেজি করে আঙ্গুর ধরেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। আঙ্গুরের বাগানে সবুজ  নিজেই কাজ করেন।

আঙ্গুর চাষের জন্য তিনি বাশের খুঁটি ব্যহার করেছেন। টাঙলা (মাচা) বাবদ ১৬ মিলি রড ও কট সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। ২০ শতাংশ  জমিতে ২৫ থেক ৩০টি রয়েছে আঙ্গুরের চারা । ২০ শতাংশ  জমিতে আনুমানিক তার ব্যয় হবে ৫০ হাজার টাকার মতো।বাগানের ২৫টি গাছ থেকে  দেড়শ  থেকে দুইশ কেজির মতো আঙ্গুর সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি । তার বাগানের আঙ্গুর সুস্বাদু হবে বলে তিনি আশাবাদী।  ওই কৃষক বলেন, আঙ্গুর চাষ সম্প্রসারণে ২০ শতাংশ  জমিতে  আঙ্গুরের চারা রোপণ করবেন। আঙ্গুরগাছে ফল আসার পর পাকতে সময় লাগে ৩/৪ মাস।

তিনি আশাবাদী বাংলাদেশের মাটিতেও সুস্বাদু আঙ্গুর চাষে সফলতা দেখাবেন।তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকে গত ৩ দিন ধরে পাইকারী ২শ টাকা দরে আঙ্গুর কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কেজি আঙ্গুর বিক্রি করেছি। আমার লাগানো আঙ্গুরগুলো মিষ্টি ও সুস্বাদু।এদিকে প্রতিদিন আঙ্গুর দেখতে আসে ২শ থেকে ৩শ দর্শনার্থী। এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফলচাষের জন্য উপযোগী। এগারো  মাস আগে কৃষক সবুজ  তার ২০ শতাংশ  জমিতে কয়েক প্রজাতির আঙ্গুরের চারা রোপণ করেন। প্রথম বছরেই তার আঙ্গুর বাগানে ব্যাপক ফলন এসেছে। আঙ্গুর পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় আছি। যদি সত্যিই সুস্বাদু হয় তাহলে এ এলাকায় আঙ্গুর চাষে অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads